এ বিভাগটি শুরু হয় তাইসীর জামাত থেকে। এবং মেশকাত পর্যন্ত ১০ বছরে যার একটি স্তর শেষ হয়। এবং এরপর দাওরায়ে হাদীসের জন্য দুই বছর সময় বরাদ্দ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
জামাতে বিন্যাস নিম্নরূপ:
তাইসীর, মিযান, নাহবেমীর, হেদায়াতুন্নাহু, কাফিয়া, শরহে জামী, হেদায়া, তাফসীর জামাত, মেশকাত।
কিতাব বিভাগে আমাদের কিছু প্রচেষ্টা:
❖ উসূলী, মৌলিক ও বড় কলেবরের কিতাবগুলো বছরের সিংহভাগ সময় ৫০/৬০ মিনিটের দরস প্রদান করা হয়।
❖ বুনিয়াদি ও ভিত্তিমূলক জামাতগুলোতে (তথা তাইসীর থেকে কাফিয়া পর্যন্ত) নাহু, সরফ ও লুগাহের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয় এবং তামরীনের উপর বিশেষ জোর প্রদান করা হয়। এসব জামাতের সবক দরসেই আত্মস্থ করানোর প্রচেষ্টা থাকে।
❖ আরবী পড়া, বলা ও লেখার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ ও তার জন্য প্রায়োগিক মেহনতের চেষ্টা করা হয়। ❖তুলনামূলক দুর্বল ছাত্রদের জন্য আলাদা মেহনতের ব্যবস্থা করা হয়।
❖ কিতাব বিভাগের তালিবুল ইলমদের দুইভাগে সাপ্তাহিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
❖ কিতাব বিভাগের তাইসীর থেকে জালালাইন পর্যন্ত সকল তালিবে ইলমের দৈনিক নির্ধারিত সময় রোজনামচা লেখার নেযাম রয়েছে।
❖ হাফেজ গাইরে হাফেজ নির্বিশেষে কিতাব বিভাগের সকল তালিবের দৈনিক সম্মিলিত ও নিয়মতান্ত্রিক নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা রয়েছে।
❖ সাপ্তাহিক তরবিয়াতি বয়ান। যেখানে আসাতিযায়ে কেরাম আতাউন্নয়নমূলক আলোচনা করে থাকেন।
❖ প্রতিদিন জোহরের পর বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে সকল তালিবুল ইলমদের তরবিয়াতী তালীমের ব্যবস্থা।
❖ বাংলা আরবী ও উর্দু হাতের লেখার বিশুদ্ধকরণ ও সুন্দরকরণের নিয়মিত অনুশীলন।
❖ সকাল-সন্ধ্যা ও আছরের পর মাসনুন দোয়া ও মামুলাতের আমল।
❖ রিপোর্ট বইয়ের মাধ্যমে তালিবুল ইলমদের উন্নতি অগ্রগতির অবস্থা অভিভাবকদের অবহিতি প্রদান।
❖ পড়াশুনার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে একই জামাতের ছাত্রদের একাধিক ভাগে বিভক্ত করে পাঠদান।
❖ মূল পরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিভিন্ন মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা।
❖ লেখালেখির চর্চায় উৎসাহদানের জন্য দেয়ালিকা প্রকাশের ব্যবস্থা।
❖ জামিয়া "উলুমে আ'লিয়া" তথা তাফসীর, হাদীস, সীরাত, ফিকহ ও তারীখের উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করতে চায়।
❖ জামিয়ার শিক্ষা কারিকুলামে কমপক্ষে এক বছর শুধু তাফসীরের জন্য বরাদ্দ থাকবে। যাতে জালালাইন ছাড়াও তাফসীরের বড় বড় কিতাবাদি থেকে পাঠদান করা হবে। আর সীরাত ও তারীখের প্রয়োজনীয় আরো কিতাবাদিও এর নেসাবভুক্ত আছে।
❖ হাদীসের কিতাবগুলো যথাযথ অধ্যয়নের লক্ষ্যে নিকট ভবিষ্যতে দু' বছর মেয়াদী দাওরায়ে হাদীস জামাত চালু করা হবে ইনশাআল্লাহ।
* তাফসীর, হাদীস ও ফিকহের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়গুলো সময়ের সাথে মিলিয়ে পড়ানোর প্রচেষ্টা রয়েছে।
❖ বর্তমান জামানার শিক্ষিতসমাজের কাছে দাওয়াতী কাজ করার সুবিধার্থে অন্তত মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইংরেজি পড়া ও লেখাও নেসাবভুক্ত করা হয়েছে।
❖ যুগের ভাষা বুঝার লক্ষ্যে একটি স্তর পর্যন্ত আধুনিক বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ও এর পরিকল্পিত নেসাবের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।